ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্রি বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার, মুনাফা কমেছে ৫৭ কোটি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • 85

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আকাশচুম্বি মুনাফা দেখিয়ে বুক বিল্ডিংয়ে রেকর্ড দরে শেয়ার ইস্যু করে ক্রাউন সিমেন্ট। সেই কোম্পানি এখন শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের ধারেকাছেও নেই। যার পেছনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দূর্ণীতি জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় কোম্পানির সঠিক তথ্য বের করে আনতে বিশেষ নিরীক্ষার দাবি তাদের।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১- মার্চ ২২) পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার। এসত্ত্বেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৫৭ কোটি টাকার। কোম্পানিটির ব্যবসায় এভাবে ধারাবাহিক পতনে তালিকাভুক্তির ১১ বছরে ক্যাপিটাল এবং লভ্যাংশ, ঊভয় ক্ষেত্রেই লোকসান গুণছে বিনিয়োগকারীরা।

দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) ক্রাউন সিমেন্টের ১ হাজার ৪১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ হাজার ২১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিক্রি বেড়েছে ১৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বা ১৬ শতাংশ।

বিক্রি বৃদ্ধি ছাড়াও কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় কমে এসেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফায় পতন হয়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের ৯ মাসে এ খাতের ৪৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় কমেছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ৩৭ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে নিট মুনাফা কমেছে ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বা ৮১ শতাংশ। এ কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৯১ টাকায়। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৪.৭৩ টাকা।

মুনাফায় এই ধসের কারন হিসাবে ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বাজারে কাচাঁমালের দাম বৃদ্ধিকে উল্লেখ করে ডিএসইকে জানিয়েছেন। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে একইসময়ে ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে সিমেন্ট খাতের আরেক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের। যে কোম্পানিটির জন্য শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন ২২) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৭ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে হয়েছিল ১.৮৫ টাকা।

আরও পড়ুন……

ক্রাউন সিমেন্টের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে ক্রাউন সিমেন্ট থেকে বিনাসুদে শত শত কোটি টাকার ঋণ প্রদান

এই সিমেন্ট কোম্পানিটির পর্ষদ চলতি বছরের ৬ মাসের ব্যবসায় ১৫% অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যে কোম্পানিটির ২০২১ সালে ইপিএস হয় ৩.৩৪ টাকা। যার উপর ভিত্তি করে রেকর্ড ২৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

কিন্তু ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করা ক্রাউন সিমেন্ট এখন অনেক পিছিয়ে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব শেয়ারপ্রতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯.৩৯ টাকার মুনাফা এখন ৯ মাসে ০.৯১ টাকা। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ২ শতাংশেরও কম বা ১.৭৯ শতাংশ।

এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৭৪.৪০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ০.৭৫ টাকা।

এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ১১ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৯ টাকা। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ১১ বছরে আসত ৪১.৩৬ টাকা। একইসঙ্গে ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।

এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের ক্রাউন সিমেন্টে ৭৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির গত ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১.৬২ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ আগস্ট, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “বিক্রি বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার, মুনাফা কমেছে ৫৭ কোটি

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিক্রি বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার, মুনাফা কমেছে ৫৭ কোটি

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আকাশচুম্বি মুনাফা দেখিয়ে বুক বিল্ডিংয়ে রেকর্ড দরে শেয়ার ইস্যু করে ক্রাউন সিমেন্ট। সেই কোম্পানি এখন শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের ধারেকাছেও নেই। যার পেছনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দূর্ণীতি জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় কোম্পানির সঠিক তথ্য বের করে আনতে বিশেষ নিরীক্ষার দাবি তাদের।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১- মার্চ ২২) পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার। এসত্ত্বেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৫৭ কোটি টাকার। কোম্পানিটির ব্যবসায় এভাবে ধারাবাহিক পতনে তালিকাভুক্তির ১১ বছরে ক্যাপিটাল এবং লভ্যাংশ, ঊভয় ক্ষেত্রেই লোকসান গুণছে বিনিয়োগকারীরা।

দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) ক্রাউন সিমেন্টের ১ হাজার ৪১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১ হাজার ২১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিক্রি বেড়েছে ১৯৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বা ১৬ শতাংশ।

বিক্রি বৃদ্ধি ছাড়াও কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় কমে এসেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফায় পতন হয়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের ৯ মাসে এ খাতের ৪৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় কমেছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ৩৭ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে নিট মুনাফা কমেছে ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বা ৮১ শতাংশ। এ কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৯১ টাকায়। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৪.৭৩ টাকা।

মুনাফায় এই ধসের কারন হিসাবে ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বাজারে কাচাঁমালের দাম বৃদ্ধিকে উল্লেখ করে ডিএসইকে জানিয়েছেন। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে একইসময়ে ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে সিমেন্ট খাতের আরেক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের। যে কোম্পানিটির জন্য শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন ২২) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৭ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে হয়েছিল ১.৮৫ টাকা।

আরও পড়ুন……

ক্রাউন সিমেন্টের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে ক্রাউন সিমেন্ট থেকে বিনাসুদে শত শত কোটি টাকার ঋণ প্রদান

এই সিমেন্ট কোম্পানিটির পর্ষদ চলতি বছরের ৬ মাসের ব্যবসায় ১৫% অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যে কোম্পানিটির ২০২১ সালে ইপিএস হয় ৩.৩৪ টাকা। যার উপর ভিত্তি করে রেকর্ড ২৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

কিন্তু ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করা ক্রাউন সিমেন্ট এখন অনেক পিছিয়ে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব শেয়ারপ্রতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯.৩৯ টাকার মুনাফা এখন ৯ মাসে ০.৯১ টাকা। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ২ শতাংশেরও কম বা ১.৭৯ শতাংশ।

এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৭৪.৪০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ০.৭৫ টাকা।

এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ১১ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৯ টাকা। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ১১ বছরে আসত ৪১.৩৬ টাকা। একইসঙ্গে ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।

এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের ক্রাউন সিমেন্টে ৭৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির গত ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১.৬২ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ আগস্ট, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: